গত রাশিয়া বিশ্বকাপের (২০১৮) আগে বাছাই পর্বে বিপাকে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে মেসি-ডি মারিয়াদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এবার ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাই ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে সেলেসাওরা। ৮ ম্যাচের ৪ টিতেই হারতে হয়েছে ভিনি-রদ্রিগোদের।
এদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টিতে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচ খেলেই ৪ হার। এতেই বোঝাই যাচ্ছে কতটা খারাপ সময় পার করছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের পর এই মুহূর্তে ৫ম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ৮ ম্যাচে ৪ হারের সঙ্গে আছে ৩ জয় আর ১ ড্র। সংগ্রহে ১০ পয়েন্ট।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমের দাবি, দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বের বিচারে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বাজে দল! এর আগে কখনও শুরুর ৮ ম্যাচ পর্যন্ত এতটা বিধ্বস্ত ছিল না ব্রাজিল। সবশেষ এমন বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে, কার্লোস দুঙ্গার অধীনে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের অধিনায়ক দেশের কোচ পদে ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সেবার ৮ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের সংগ্রহ ছিল ১৩ পয়েন্ট।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নবম ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়ে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ১৬ পয়েন্ট। আগামী মাসে (অক্টোবরে) চিলির বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলবে ব্রাজিল। ওই ম্যাচটি জিতলে ৯ ম্যাচে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়াবে ১৩ পয়েন্ট। তবে সেটাও ব্রাজিলকে যে খুব একটা স্বস্তিতে দেবে তার নিশ্চয়তা নেই। নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে একবারই কেবল ২ গোলের বেশি করেছিল সেলেসাওরা।
তবে ব্রাজিল ভক্তদের জন্য স্বস্তির খবর হলো নতুন করে বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। যে কারণে বাড়ছে কনমেবল অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা। নতুন নিয়মে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬ দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। আর ৭ম দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ।